তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী,তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে রাসূল(সাঃ)এর হাদীছ সমূহ,তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কখন হবে,তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন হবে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাণী |
মুশরিকরা নিজেদের অবাধ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে কিয়ামত আনয়ন করবে। আর তখন পৃথিবীতে অগ্নি প্রকাশ পাবে, যা পৃথিবীর দুই- তৃতীয়াংশ মানুষ কে ধ্বংস করবে। তার পরেই আল্লাহ তায়ালা একটি শান্তিময় পৃথিবী দেখাবেন। যেখানে কোন বিশৃঙ্খলা থাকবেনা। একথা বলে তিনি সুরা ইব্রাহিম এর ৪৮ তম আয়াত পাঠ করলেন।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) এর হাদীছ সমূহঃ
ব্যাক্ষাঃ 1) আল্লাহর রছুল (ছাঃ) বলেছেন, মুশরিকরা (মুর্তীপুজারি হিন্দু রা) নিজেদের অবাধ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে কিয়ামত আনয়ন করবে। এই কিয়ামত মানে কিন্তু পৃথিবীর কিয়ামত না।এটা জাতির কিয়ামত।
কেননা আল্লাহর রছুল( ছাঃ) বলেছেন, কিয়ামত ৩ প্রকার (১) ব্যাক্তির কিয়ামত, যখন মৃত্যু হবে।(২) জাতীর কিয়ামত, যখন তারা যুদ্ধ কোরে বা আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়।(৩)পৃথিবী ধ্বংসের কিয়ামত। আর যেহেতু এখানে, এখানে মুশরিক জাতীর কিয়ামত আনয়ন এর কথা বলা হয়েছে, সেহেতু এটা জাতির কিয়ামত।
2) আর তখন পৃথিবীতে অগ্নি প্রকাশ পাবে, যা পৃথিবীর দুই- তৃতীয়াংশ মানুষ কে ধ্বংস করবে।আমরা জানি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে মুশরিক মালাউন রা যখন কারবালা করবে মুসলিমদের ঘড়ে ঘড়ে,, মানে অবাধ্যতার সিমা তীব্র গতিতে বাড়তে থাকবে, তখন মুমিনরা পাল্টা আক্রমণ করবে। আর এঘটনা থেকে ধীরে ধীরে গোটা পৃথিবীতে বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ হবে। তাহলে বোঝা গেলো মুলত মুশরিকদের কারনেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ আরম্ভ হবে। তখন পারমাণবিক যুদ্ধ হবে। মানে অগ্নি প্রকাশ পাবে। আর এটাও জানি এই বিশ্ব যুদ্ধে ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষই মারা যাবে।
3)তার পরেই আল্লাহ তায়ালা একটি শান্তিময় পৃথিবী দেখাবেন। যেখানে কোন বিশৃঙ্খলা থাকবেনা। আমি পুর্বেও বললাম, এই শেষ জামানায় গোটা পৃথিবীকে শান্তিময় করা হবে একমাত্র ইমাম মাহদীর শাষণামলে।যেখানে কোনোই বিশৃঙ্খলা থাকবেনা। তাহলে বোঝা গেলো ইমাম মাহদীর পুর্বেই মুশরিকদের পতন হবে। অর্থাৎ গাজোয়াতুল হিন্দ হবে।
4)একথা বলে তিনি সুরা ইব্রাহিম এর ৪৮ তম আয়াত পাঠ করলেন।
আমরা জানি সুরা ইব্রাহিম এর শেষের অংশ মুশরিকদের পতনের ওয়াদা ও আল্লাহর শাস্তির ওয়াদা এর আলোচনা করা হয়েছে। আর এই সুরার ৪৮ নং আয়াতে বলা আছে,
যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশ সমূহকে এবং লোকেরা পরাক্রমশালী এবং আল্লাহর সামনে পেশ হবে।
(ইব্রাহিম, আয়াত,৪৮) আল্লাহ বলেছেন, একদিন আল্লাহ এই পৃথিবীকে পরিবর্তন করবেন অন্য এক পৃথিবীর মতো।অর্থাৎ,, পৃথিবীর যে সিস্টেম থাকবে, তিনি তা পরিবর্তন করে দিবেন।
এখন প্রশ্ন, এই হাদিসে বলা আছে, পারমানবিক যুদ্ধ হবে, ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষ মারা যাবে, তারপর পৃথিবী বদলে যাবে অন্য এক পৃথিবীর মতো হয়ে যাবে। এর অর্থ, আধুনিকতার ধ্বংশ হয়ে যাবে। আর এই আয়াত টি হাদিসে উল্লেখ করার পিছনে আরও একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কারন আছে।
আপনারা জানেন যে, কুরআনের প্রতিটি আয়াতেরই গানিতিক হিসাব আছে। আর এই আয়াতের, গানিতিক হিসাবে এরকমই পাওয়া যায়,সূরা ইব্রাহিম হলো ১৪ নং সূরা এবং তার ৪৮ নং আয়াত= ১৪৪৮,এই সংখ্যা টিকে হিজরি সন হিসেবে ব্যবহার করে ১৪৪৮ হিজরি সন আসে। যা ইসায়ী ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় হয়। অর্থাৎ, ২০২৬ সালে মানুষ এই পৃথিবীর এক বিরাট পরিবর্তন দেখতে পাবে। যা সম্পূর্ণ অন্য রকম আধুনিকতা ছাড়া এক বিশ্ব।আর তারপরেই শান্তি ময় পৃথিবী আসবে মাহদীর আগমনে। আলহামদুলিল্লাহ।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কখন হবে?
প্যারাঃ (২৭ )দ্বিতিয় বিশ্ব সমর শেষে আষি বর্ষ পর,,,শুরু হবে ফের অতি ভয়াবহ, তৃতীয় বিশ্ব সমর।
ব্যাক্ষাঃ লেখক,,আস -শাহরান প্রকাশ করেছেন,যে দ্বিতিয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হবার ৮০ বছর পর,, আরো ভয়াবহ আকারে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হবে। আমরা সবাই জানি যে, ২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে, ১৯৪৫ সালে।অতএব,১৯৪৫+৮০=২০২৫ সাল। অর্থাৎ,, ২০২৫ সালেই গাজওয়াতুল হিন্দের সময়ই,,,৩য় বিশ্বযুদ্ধের সুচনা হবে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন হবে?
প্যারাঃ (৩৩) বিশ্ব রনে কালো ধোয়ায়,,অন্ধকার থাকিবে আকাশ।দেখিবে তখন জগৎবাসি,,দুখানের দশম বানীর প্রকাস।
ব্যাক্ষাঃ লেখক আস শাহরান প্রকাশ করেছেন যে,, যখন,৩য় বিশ্বযুদ্ধ হবে,,ঐ যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে,, ধোয়ার কারনে আকাশ দিনের বেলায়ও অন্ধকার দেখাবে।। আর মানুষ সেই দিন সুরা আদ-দুখানের ১০ নং বানির বাস্তবতা দেখতে পাবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,,
(( অতএব,,আপনি সেই দিনের অপেক্ষা করুন,, যে দিন আকাশ সুস্পষ্ট ধোয়ায় ছেয়ে যাবে!
সুরাঃ আদ-দুকান। আয়াতঃ ১০))
প্যারাঃ (৩৪) সাত মাস ব্যাপি ধোয়ার আযাবে বিশ্ব থাকিবে লিপ্ত। দুই-তৃতীয়াংশ মানব হাড়াইবে প্রান,,রব থাকিবেন ক্ষিপ্ত।
ব্যাক্ষাঃ এই ৩য় বিশ্বযুদ্ধর সময় সাত(৭) মাস ধোয়ার কারনে পৃথিবি অর্ধ-অন্ধকার থাকিবে।
🕓হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেন,,, কিয়ামতের বড় ১০ টি আলামতের মধ্যে,, একটি হলো,,
আকাশ কালো ধোয়ায় ছেয়ে যাবে))
🕓আর এই যুদ্ধের এই অবস্থার
কারনটা হয়তো,,আমরা সবাই বুঝতেই পারছি যে,, ২০২৫ সালে যদি এরুপ যুদ্ধ সংঘটিত হয়,,তাহলে, নিশ্চই তা,, অতি আনবিক, হাইড্রোজেন, পারমাণবিক সহ সকল প্রকার শক্তিসালি যুদ্ধ অস্র ব্যবহৃত হবে। যার বিষ্ফরনের ফলশ্রুতিতে,,
🕓পৃথিবির আকাশ ধোয়ায় ঘিড়ে যাবে।
🕓অসংখ্য অগনিত, মানব-দানব, পশুপাখি, গাছপালা মারা যাবে।।
🕓ফসল উৎপাদন হবে না।
🕓 হাদিস অনুযায়ি ইমাম মাহদির প্রকাশের পুর্বে ২ ধরনের মৃত্যু দেখা যাবে।
1. স্বেত মৃত্যু = ৩য় বিস্বযুদ্ধের কারনে পরিবেশ নষ্ট হয়ে ১-২ বছর ফসল উৎপা দন না হওয়ার ফরে সংঘটিত দুর্বিক্ষ (খড়া) র কারনে।
2. লোহিত মৃত্যু= যুদ্ধে রক্তপাতের কারনে মৃত্যু।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে?
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মুখ সাক্ষাৎ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বৃহৎ শক্তিগুলো পরস্পরকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অস্থিরতা ক্রমশই জোরালো হচ্ছে।
এ যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েছে রাশিয়াপ্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধীদের নানাভাবে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য সিরিয়াকে কড়া জবাব দেয়া হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সর্বশেষ এই টুইটে বলেছেন 'রাশিয়া প্রস্তুত হও' - কারণ যে মিসাইল আসবে আসবে তা হবে 'সুন্দর, নতুন এবং বুদ্ধিমান।'এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন হচ্ছে - পৃথিবী কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক লিনা খাতিব বলছেন সিরিয়ার সংঘাত এরই মধ্যে বৈশ্বিক রূপ লাভ করেছে।
অন্যদিকে আমেরিকার কাছে উত্তর কোরিয়াও একটি বড় মাথা ব্যাথার কারণ। লন্ডনের স্কুল অব আফ্রিকান এন্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের গবেষক স্টিভ স্যাং মনে করেন উত্তর কোরিয়া পারমানবিক সক্ষমতা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
মস্কোর ইন্সটিটিউট অব পলিটিকাল স্টাডিজ-এর গবেষক সার্গেই ম্যারকভ মনে বলছেন, পশ্চিমা নেতারা নিজেদের রাশিয়ার চেয়ে শক্তিশালী মনে করে।পৃথিবীতে এখন নানা ধরনের দ্বন্দ্ব কিংবা সংঘাত চলছে এবং এর সাথে নানা দেশ জড়িত।মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক লিনা খাতিব বলছেন এক ধরনের শীতল যুদ্ধ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
এর সাথে আরো একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে। সেটি হচ্ছে, পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলো এখন যারা পরিচালনা করছে তারা সবাই জাতীয়তাবাদী।সেজন্য যে কোন সংকটের ক্ষেত্রে তারা পিছ পা হতে চাইছেন না। একথা মনে করেন দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক শশাঙ্ক জোসি।এমন প্রেক্ষাপটে উদ্বিগ্ন হবার মতো পরিস্থিতি কি রয়েছে?
মস্কোর ইন্সটিটিউট অব পলিটিকাল স্টাডিজ-এর গবেষক সার্গেই ম্যারকভ মনে করেন, যদি রাশিয়ার কোন সৈন্যকে আমেরিকা হত্যা করে তাহলে কেবল উদ্বিগ্ন হবার মতো পরিস্থিতি আসতে পারে। লিনা খাতিব মনে করেন, যদি বৃহৎ শক্তিগুলোর পরস্পরের মাঝে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় এবং পরস্পরের স্যাটেলাইটে সাইবার আক্রমণ করে তাহলে উদ্বিগ্ন হবার মতো কারণ থাকতে পারে।
লন্ডনের স্কুল অব আফ্রিকান এন্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের গবেষক স্টিভ স্যাং-এর মতে কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে আমেরিকা যদি তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে সেটা হবে খুবই ভয়ঙ্কর একটি বার্তা। এর অর্থ হচ্ছে সে অঞ্চলে একটি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
যদিও উত্তেজনা বাড়ছে কিন্তু একই সাথে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অনেকেই কাজ করছেন। পৃথিবীজুড়ে যেসব শান্তিকামী নাগরিক সমাজ আছে তারা সরকারগুলোর উপর চাপ তৈরি করছে যাতে তারা সংঘাতে না জড়িয়ে পড়ে। শশাঙ্ক জোসির মতে জাতিসংঘ এবং অন্যন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
যে কোন ধরনের বড় যুদ্ধ থামানোর জন্য জাতিসংঘ একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মি: জোসি মনে করেন।