কারেন্ট কাকে বলে ? ভোল্টেজ কত প্রকার ও ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায় ?

 কারেন্ট কাকে বলে ? ভোল্টেজ কত প্রকার ও ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায় ?


বিদ্যুৎ কি,বিদ্যুৎ কত প্রকার,কারেন্ট কি,কারেন্ট পরিমাপের যন্ত্রের নাম কি,কারেন্ট কত প্রকার,ভোল্টেজ কি,রেজিস্ট্যান্স কি,অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে।


কারেন্ট কাকে বলে ? ভোল্টেজ কত প্রকার ও ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায় ?
কারেন্ট কাকে বলে




আসসালামু আলাইকুম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ১৮২০ থেকে ১৮৩০ এর দশকে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদনের বুনিয়াদী তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। বিদ্যুৎ আমাদের জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়েদাঁড়িয়েছে।বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারিনা । বিদ্যুৎ না থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় । তাই বিদ্যুৎ যেন অপচয় না করি।নিম্নে বিদ্যুৎ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।



 বিদ্যুৎ কি?

উত্তর:-  বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা আলো, শব্দ, গতি এবং রূপান্তরিত শক্তি ইত্যাদি উৎপন্ন করে বিভিন্ন বাস্তব কাজ সমাধা করে।



ইলেকট্রনিক্স এর জনক কে?

উত্তর:- ১৮৮৩ সালে বিজ্ঞানী ফ্লেমিং,এডিসন ক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে ভ্যাকুয়াম টিউব আবিষ্কার করেন। যা রেক্টিফায়ার হিসাবে কাজে লাগান। আর এখান থেকেই ইলেক্ট্রনিক্সের জন্ম।



 বিদ্যুৎ কত প্রকার? 

উত্তর: - বিদ্যুৎ ২ প্রকার। (a) স্থির বিদ্যুৎ (b) চল বিদ্যুৎ



 কারেন্ট কি? 

উত্তর: -  পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রনসমূহ কোন নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে



কারেন্ট পরিমাপের যন্ত্রের নাম কি? 

উত্তর: -  Ampere Meter (অ্যাম্পিয়ার মিটার)।



কারেন্ট কত প্রকার ও কি কি? 

  উত্তর: -  কারেন্ট ২  প্রকার। (a)  এসি(Alternative Current) কারেন্ট (b) ডিসি(Direct Current)



অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ - কোন পরিবাহীর যে কোন অংশের মধ্য দিয়ে এক কুলাম্ব চার্জ এক সেকেন্ড সময় ধরে প্রবাহিত হলে উক্ত পরিমান চার্জকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে। ১ কুলাম্ব = 628×1016 ইলেকট্রন চার্জ।



 ভোল্টেজ কি? ভোল্টেজ কিভাবে পাওয়া যায়?

উত্তরঃ - পরিবাহির পরমানুগুলোর ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। ভোল্টজ এর প্রতীক V(ভি) এবং একক Volt ভোল্ট)। ভোল্টেজ পরিমাপের যন্ত্রের নাম Volt Meter(ভোল্ট মিটার)।



বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ


যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে অর্থাৎ-বিদ্যুৎ প্রবাহে কোন বাঁধা পায় না তাকে পরিবাহী বলে




পরিবাহী তিন প্রকার

(এ) Good Conductor(সু-পরিবাহী): যে পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই বিদ্যুৎ পরিবাহী হতে পারে তাকে সু-পরিবাহী বলে। পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ১,২,৩ টি থাকে। যেমন:-তামা, সোনা, রূপা, এলোমোনিয়াম, দস্তা, পিতল, নিকেল, সীসা, রাং, প্লাটিনাম, ফসফর ব্রোঞ্জ, পারদ ইত্যাদি।


(b) Semi Conductor(অর্ধ-পরিবাহী):যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় আংশিক ভাবে বাধাঁ প্রাপ্ত হয় Semi conductor বলে।পরমাণুর শেষ ক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি থাকে। যেমন:-কার্বন, সিলিকন, মাইকা, কয়লা, জার্মেনিয়াম, বিজা মাটি, বিজা বাঁশ ইত্যাদি।


(c ) Insulator(কু-পরিবাহী)যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হতে পারেনা তাকে Insulator বলে। পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ৫,৬,৭ টি থাকে।য়েমন:- ব্যকেলাইট, এসবেসটস, মার্বেল, পাথর, রাবার, চিনামাটি, তুলা, শুকনো কাগজ, শুকনো বাঁশ ইত্যাদি।


 রেজিস্ট্যান্স কি?

উত্তরঃ - পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে। রেজিস্ট্যান্স’এর প্রতীক R (আর) এবং একক Ohm (ওহম)।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url