ফাতিমা নামের অর্থ কি

 ফাতিমা নামের অর্থ কি


ফাতিমা নামের অর্থ কি,ফাতেমা শব্দের অর্থ কি,ফাতেমা নামের ইসলামিক অর্থ কি,ফাতেমা কি ইসলামিক নাম,ফাতেমা নামের আরবি অর্থ কি,ফাতেমা ছিলেন কে,ফাতেমা নামের বাংলা অর্থ কিওফাতেমা নামের সাথে যুক্ত কিছু নাম।



ফাতিমা নামের অর্থ কি
ফাতিমা নামের অর্থ কি


ফাতেমা নামের অর্থ কি, নামটি কোথা থেকে এসেছে তা জানতে পারবেন নিচের অংশে চলে যান। পুরো আর্টিকেলটিতে ফাতেমা নাম সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।ফাতেমা নামটি সেরা একটি নাম সব নামের মধ্যে। ইসলাম ধর্ম মানুষের অতি পরিচিত এবং অত্যন্ত প্রিয় একটি নাম ফাতেমা। ফাতেমা নামটি ইসলামিক নাম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যার নাম ছিলো ফাতেমা। তাই মুসলিম পরিবারের সন্তানের জন্য এই পবিত্র নামটি রাখা উত্তম। ফাতেমা নামের অর্থ সদ্য দুধ ছাড়ানো শিশু। অর্থাৎ নিষ্পাপ, পবিত্র ব্যক্তিকে বুঝায়। মুসলিমদের মধ্যে সবাই-ই এই নামটি পছন্দ করে।




ফাতেমা শব্দের অর্থ কি ?

ফাতেমা শব্দের খুব সুন্দর একটি অর্থ রয়েছে। এই ইসলামিক নামটির অর্থ সদ্য দুধ ছাড়ানো শিশু। নামটি দিয়ে এমন একটি শিশুকে বুঝায় যে কেবল দুধ খাওয়া ছেড়েছে। নামটির অর্থে পবিত্রতা রয়েছে। ফাতেমা নামটি মেয়েদের পবিত্র নাম। ছেলেদের জন্য ফাতেমা নাম রাখা হয় না। মুসলিম পরিবারের মেয়ে সন্তানের জন্য এই নামটি বাছাই করতে পারেন। নামটি অদ্ভুত সুন্দর এবং পবিত্র একটি নাম। এই নামের আরো বিস্তারিত অর্থ জানতে আর্টিকেলের আরো নিচের অংশে চলে যান। আর আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে নির্দ্বিধায় আপনার মেয়ে বাবুর জন্য এই নাম টি রেখে দিতে পারেন।



ফাতেমা নামের ইসলামিক অর্থ কি ?

ফাতেমা নামটি ইসলামিক একটি নাম তা আগেই বলা হয়েছে। আমাদের প্রিয় মহানবী সঃ এর মেয়ের নাম ছিলো ফাতেমা। তাই নামটি একটি পবিত্র নাম। এই ফাতেমা নামটির অর্থ সদ্য দুধ ছাড়ানো শিশু। পবিত্রতা বুঝাতে এই নামটি ব্যবহার করা হয়। তাই বলা যায়, নামটি খুব চমৎকার একটি নাম।



ফাতেমা কি ইসলামিক নাম? 

হ্যাঁ ফাতেমা একটি ইসলামিক নাম। এখন বাংলাদেশে অনেক মুসলিম মেয়ের নাম ফাতেমা রাখা হয়।



ফাতেমা নামের আরবি অর্থ কি?

মূলত ফাতেমা নামের আরবি অর্থ হচ্ছে সদ্য দুধ ছাড়ানো শিশু।




ফাতেমা নামের বাংলা অর্থ কি ?

(ফাতেমা নামের অর্থ কি) ফাতেমা নামটি ইসলামিক অর্থপূর্ণ একটি সুন্দর নাম। নামটি ইসলামিক নাম হিসেবে সর্বোচ্চ স্তরের একটি নাম। এই নামের বাংলা অর্থ কেবল দুধ খাওয়া ছাড়িয়েছে এমন শিশু। নামটি খুব সুন্দর নাম। যেকোনো মুসলিম পরিবারের মেয়ে সন্তানের জন্য নামটি রাখতে পারেন। এই নামটি ইসলামিক হয় শুধুমাত্র মুসলিম পরিবারের মেয়েদের জন্যই এটি রাখা হয়।



 ফাতেমা ছিলেন কে ? 

রাসূলুল্লাহ (সা.) চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন। এরপর মহান আল্লাহর নির্দেশে গোপনে তিন বছর মানুষকে ধর্মের দিকে দাওয়াত দিতে থাকেন। তিন বছর পর তিনি প্রকাশ্যে নিজের আত্মীয়-স্বজন ও মক্কাবাসীকে ধর্মের পথে দাওয়াত দেন। রাসূলের গোত্র বনু হাশিমের মধ্য থেকে তাঁর চাচা আবু লাহাব তাঁর বিরোধিতা করতে থাকে। আর মক্কার নেতৃস্থানীয় কুরাইশরা সকলে রাসূলের সাথে শত্রুতা শুরু করে।


এর মধ্যে রাসূলের পুত্রসন্তানরা মারা গেলে কাফির-মুশরিকরা রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা করতে থাকে। আস ইবনে ওয়ায়েল রাসূলকে ‘আবতার’ (লেজকাটা) বা নির্বংশ বলে গালি দেয়। সে বলত,‘আরে মুহাম্মাদের তো কোন পুত্রসন্তান নেই,সে মরে গেলে তার নাম নেয়ার মতো ও কেউ থাকবে না।’ রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এ কথায় খুব কষ্ট পেতেন। মহান আল্লাহ্ তাঁর এ কষ্ট দূর করার জন্য যে অমূল্য নেয়ামত তাঁকে দান করেন তিনিই হলেন হযরত ফাতিমা (আ.)। এর প্রেক্ষিতেই পবিত্র কুরআনের সূরা কাওসার নাযিল হয়।



নামঃ ফাতেমা, সিদ্দীকা, মুবারিকাহ্, তাহিরাহ্, যাকিয়্যাহ্, রাযিয়্যাহ্, মারযিয়্যাহ্, মুহাদ্দিসাহ্ এবং যাহরা।


ডাক নামঃ উম্মুল হাসান, উম্মুল হুসাইন, উম্মুল মুহ্সিন, উম্মুল আয়েম্মা এবং উম্মে আবিহা।


উপাধিঃ হযরত ফাতিমার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ উপাধি হল যাহরা,যাকিয়াহ,বাতুল ও রাযিয়া। চারিত্রিক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনি আরও কিছু উপাধিতে ভূষিত হন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলঃ সিদ্দীকা, কুবরা, মুবারিকাহ্, আযরা, তাহিরা এবং সাইয়্যেদাতুন নিসা।


পিতাঃ ইসলামের মহা সম্মানিত রাসূল (সা.) হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ্ (সা.)।


মাতাঃ ইসলাম গ্রহণকারী সর্বপ্রথম নারী, আল্লাহর রাসূল (সা.)-এর সর্বপ্রথম স্ত্রী খাদীজাতুল কুবরা।



জন্মঃ আরবি জমাদিউসসানী মাসের বিশ তারিখে রোজ শুক্রবার,মহানবী (সা.)-এর নবুওয়াত লাভের পঞ্চম বৎসরে,মক্কার প্রস্তরময় পর্বতের পাদদেশে,কা’বার সন্নিকটে,ওহী নাযিলের গৃহে,যে গৃহের অঙ্গন মহানবী (সা.)-এর খোদাপ্রেমিক মুখের পবিত্র ছটায় আলোকিত হতো,যে গৃহকে ফেরেশতারা ভাল করে চিনতো এবং সেখানে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করতো,যেখানে সকাল সন্ধ্যায় রাসূলে খোদার নামাজের গুঞ্জরন প্রতিধ্বনিত হতো এবং গভীর রাত্রিতে তাঁর তিলাওয়াতের আধ্যাত্মিক ধ্বনিতে জমিনের সাথে আসমানের সংযোগ স্থাপিত হতো,ইয়াতিমদের আশার কেন্দ্র,নিঃস্ব মানুষের সাহায্যকারী,বন্দী ও নিপীড়িতদের আশ্রয়স্থল,সেই গৃহে পয়গম্বর (সা.) ও হযরত খাদিজার গৃহে একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করে। 


সন্তানঃ ইমাম হাসান মুজতাবা,ইমাম হুসাইন সাইয়্যেদুশ শুহাদা,জয়নাব আল কুবরা,উম্মে কুলসুম,মুহ্সিন (তাঁর গর্ভেই মারা যায়)।



ফাতেমা নামের সাথে যুক্ত কিছু নাম?

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুজতে পেরেছি ফাতেমা একটি সুন্দর একটি ইসলামিক নাম। যা অনেকে পছন্দ করেন। অনেকেই তাদের কন্যা সন্তানের নাম ফাতেমা রাখেন।আপনি চাইলে শুধু “ফাতেমা” নামে ডাকতে পারেন আপনার সুনামনিকে।তবে, এখানে ফাতেমা নামের সাথে যুক্ত করে কিছু শিশুর নাম আপনাদের প্রদান করা হল।


ফাতেমা-তুজ-জোহরা।

ফাতেমা আকতার।

ফাতেমা লিজা।

ফাতেমা আফতাব।

ফাতেমা মিম।

ফাতেমা তুজ জোহরা।

ফাতেমা ইয়াসমিন।

ফাতেমা জাহান।

ফাতেমা রাইহা।

কাজী ফাতেমা।

কানিজ ফাতেমা।

ফাতেমা দিনা।

লাবন্য ফাতেমা।

ফাতেমা খান।

ফাতেমা খাতুন।

ফাতেমা নারগিস।

ফাতেমা রহমান।

ফাতেমা বেগম।

ফাতেমা সিদ্দিকি।

ফাতেমা সুলতানা।

ফাতেমা খানম।

সৈয়দা ফাতেমা।

ফাতেমা কবির।

ফাতেমা রানু।

ফাতেমা তাহমিনা।

ফাতেমা তানিশা।

ফাতেমা মাহমুদ।

ফাতেমা নিশাত।

ফাতেমা মালিহা।

ফাতেমা সুলতানা।

ফাতেমা পারভীন।

উম্মে হাবিবা ফাতেমা।

ফাতেমা জান্নাতুল।

ফাতেমা ইসলাম।

ফাতেমা আক্তার সুমি।

ফাতেমা বিনতে কবীৱ।

নুসরাত ফাতেমা।

ফাতেমা বিনতে ইয়াসির

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url