নবী কিসের তৈরি দলিল
নবী কিসের তৈরি দলিল
নবী কিসের তৈরি দলিল |
নবী (সঃ) নূরের তৈরি কত দলিল লাগবে আপনার?
যারা বলেন রাসুল(সঃ) নুরের তৈরি নয়!তাদের জন্য এই দলিল!
নবী করিম (স) যে নুরের তৈরি তার দলিল`
আর কত দলিল লাগবে,দলিল দিয়ে তোদেরকে বোঝাতে পারবো ইনশাআল্লাহ ←
→→আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন- ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ
ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ
ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ
থেকে একটা নূর...এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে।।
(সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫) আলোচ্য আয়াতে নূর
দ্বারা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু..
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কে বুঝানো হয়েছে।
নিম্নে আরো কয়েকটি প্রসিন্ধ তাফসীরের
আলোকে দলিল উপস্থাপন করা হলঃ-
দলিল নং ১
বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত
ইবনে আববাস (রাঃ) এর বিশ্ব বিখ্যাত
তাফসীর গ্রন্থ
ইবনে আববাস এর মধ্যে আছে-
ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ ﻳﻌﻨﻲ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﺅﺳﻠﻢ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
(তাফসীরে ইবনে আববাস
পৃষ্ঠা ৭২)।
দলিল নং ২
ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-
তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ
ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন- ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ
ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ ﻳﻌﻨﻲ ﺑﺎﺍﻟﻨﺆﺭ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺅﺳﻠﻢ ﺍﻟﺬﻱ ﺍﻧﺎﺭ
ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ
ﺍﻟﺤﻖ ﻭﺍﻇﻬﺮﺑﻪ ﺍﻻﺳﻼﻡ ﻭﻣﺤﻖ ﺑﻪ ﺍﻟﺸﺮﻙ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা
আল্লাহ
সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন
এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন।
( তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৬,
সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।
দলিল নং ৩
মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন
আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ) (যিনি ‘খাজিন’
নামে পরিচিত)
তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন- ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ
ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ ﻳﻌﻨﻰ ﺑﺎﺍﻟﻨﺆﺭ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﺍﻧﻤﺎ ﺳﻤﺎﻩ
ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﺍﻻﻧﻪ ﻳﻬﺪﺍﻯ ﺑﺎﻟﻨﻮﺭ ﻓﻲ ﺍﻟﻈﻼﻡ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ
তায়া’লা তাঁর
নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে
হেদায়ত
লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা
পথ
পাওয়া যায়। (তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা
৪১৭)
কোরআনে আলোকে নবী নুরের তৈরি তার
প্রমান ২য় পর্বঃ দলিল নং ৪ ইমাম হাফেজ
উদ্দীন
আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ
ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই আয়াত
শরীফ ( ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ... ﻣﺒﻴﻦ )
প্রসঙ্গে বলেন- ﻭﺍﻟﻨﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻻﻧﻪ ﻳﻬﺘﺪﺍﻱ ﺑﻪ
ﻛﻤﺎ ﺳﻤﻲ ﺳﺮﺍﺟﺎ ﻣﻨﻴﺮﺍ -......
আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে
হেদায়ত
লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ
বলা হয়েছে। (তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড,
পৃষ্ঠা ৪১৭)। দলিল নং ৫
ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন
রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ ( ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ
ﻭ ﻛﺘﺎﺏ
ﻣﺒﻴﻦ ) প্রসঙ্গে বলেন- ﺍﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﺎﻟﻨﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ
ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﺑﺎﻟﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাব দ্বারা
আল
কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে।
(তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫,
সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।
আর যারা বলে যে ‘নূর ও কিতাবে মুবীন’
দ্বারা কুরআন মজীদকেই বুঝানো হয়েছে, ইমাম
রাযী (রা) সে সম্পর্কে বলেন- ﻫﺬﺍ ﺿﻌﻴﻒ ﻻﻥ ﺍﻟﻌﻄﻒ
ﻳﻮﺟﺐ ﺍﻟﻤﻐﺎﻳﺮﺓ ﺑﻴﻦ
ﺍﻟﻤﻌﻄﻮﻑ ﻭﺍﻟﻤﻌﻄﻮﻑ ﻋﻠﻴﻪ -
এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ (ব্যাকরণগত
সংযোজিত) মা‘তুফ (সংযোজিত) ও মা‘তুফ
আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন কারা
হয়েছে )
এর
মধ্যে ভিন্নতা প্রমাণ করে। (তাফসীরে কবীর
৩য়
খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫)।
দলিল নং ৬
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা) বলেনঃ ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ
ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ
ﻧﻮﺭ ﻫﻮ
ﻧﻮﺭ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - অর্থঃ নিশ্চয়ই
আল্লাহর নিকট
হতে তোমাদের
কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।
(তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭
কোরআনের আলোকে নবী নুরের তৈরি তার
প্রমান আজ ৩য় পর্বঃ দলিল নং ৭ আল্লামা
মাহমূদ
আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-
ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻫﻮ ﻧﻮﺭﻋﻈﻴﻢ ﻫﻮ ﻧﻮﺭ ﺍﻻﻧﻮﺍﺭﺍﻟﻨﺒﻰ ...
ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻰ ﺫﻫﺐ ﻗﺘﺎﺩﺓ ﻭﺍﻟﺰﺟﺎﺝ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের
কাছে মহান নূর...... এসেছে । আর তিনি হলেন
নূরুল আনোয়ার নবী মোখতার সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটাই হযরত কাতাদাহ
ও
যুজাজের অভিমত। (তাফসীরে রুহুল মাআনী
৬ষ্ঠ
খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭)।
দলিল নং ৮
আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন- ﻗﻴﻞ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ
ﺑﺎﺍﻻﻭﻝ
ﻫﻮ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺑﺎﻟﺜﺎﻧﻰ
ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ -
অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর
দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম
কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ
কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন
কে বুঝানো হয়েছে।
(তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯) আর
অগ্রসর হয়ে বলেন-
ﺳﻤﻰ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻧﻮﺭﺍ ﻻﻥ ﺍﻭﻝ
ﺷﻴﺊ ﺍﻇﻬﺮﻩ ﺍﻟﺤﻖ ﺑﻨﻮﺭ ﻗﺪﺭﺗﻪ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﺔ ﺍﻟﻌﺪﻡ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻯ -
অর্থ: আল্লাহ তায়া‘লা রসূল আকরাম
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম
রেখেছেন নূর।
কেননা আল্লাহ তায়া‘লা তাঁর কুদরতের নূর
থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন
তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এর নূর
মোবারক। যেমন
তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া‘লা
সর্বপ্রথম
আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন।
(তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯)।
দলিল নং ৯
ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মুহাম্মদ আল-
হোসাইন
আল-ফাররা আল- বাগাভী (রা) বলেন-
ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻳﻌﻨﻰ ﺑﺎﺍﻟﻨﺆﺭ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
(তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা
২৩,
তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা) এ
ছাড়া আরো অনেক তাফসীর গ্রন্থর
মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূরঃ- সুরা
মায়েদা পারা ৬, ১৫
নং আয়াতে নূরের ব্যাখ্যাঃ- ১। তাফসীরে
মারেফুল
কোরআন পৃষ্ঠা ৫৪।
আমাদের নবীজি নুরের তৈরি,(সুরা মায়িদা ১৫)নবীজি নুর হয়ে এসেছেন,(মেশকাত শরীফ ৫১৩ পৃষ্টা)নবীজি আদম নবীর ১৪ হাজার বছর আগেই নুর নবী ছিলেন(থানবী কতৃক,নশরেত্তিব ৫পৃষ্ট) নবীজি নুরের সৃজন, (আজিজুল হক কতৃক বাংলা বুখারী ৫, খন্ড, ৩৭ পৃষ্টা) নবীজি আল্লাহর চেহেরার নুর দ্বারা সৃষ্টি,,(বড় পীর কতৃক সিররুল আসরার,৪৮পৃষ্টা)-
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে নুরের
তৈরি তার দলিল
কোরআনের শরীফের আলোকে ১ম
পর্বঃ আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ
করেন- ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ
ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট
আল্লাহর পক্ষ
থেকে একটা নূর... এবং স্পষ্ট কিতাব
এসেছে।।
(সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫) আলোচ্য
আয়াতে নূর
দ্বারা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু......
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কে বুঝানো হয়েছে।
নিম্নে আরো কয়েকটি প্রসিন্ধ
তাফসীরের
আলোকে দলিল উপস্থাপন
করা হলঃ-
দলিল নং ১
বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন
হযরত
ইবনে আববাস (রাঃ) এর বিশ্ব
বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ
ইবনে আববাস এর মধ্যে আছে-
ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ ﻳﻌﻨﻲ ﻣﺤﻤﺪﺍ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺅﺳﻠﻢ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট
হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
(তাফসীরে ইবনে আববাস
পৃষ্ঠা ৭২)।
দলিল নং ২
ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ
ইবনে জারীর আত্-
তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর
গ্রন্থ
ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন- ﻗﺪ
ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ
ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ ﻳﻌﻨﻲ ﺑﺎﺍﻟﻨﺆﺭ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﺅﺳﻠﻢ ﺍﻟﺬﻱ ﺍﻧﺎﺭ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻪ
ﺍﻟﺤﻖ ﻭﺍﻇﻬﺮﺑﻪ ﺍﻻﺳﻼﻡ ﻭﻣﺤﻖ ﺑﻪ ﺍﻟﺸﺮﻙ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট
হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন,
যে নূর দ্বারা আল্লাহ
সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ
করেছেন
এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন।
( তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড,
পৃষ্ঠা ৮৬,
সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।
দলিল নং ৩
মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন
আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ)
(যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত)
তাফসীরে খাজেনের
মধ্যে বলেন- ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ
ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ﻣﺒﻴﻦ ﻳﻌﻨﻰ ﺑﺎﺍﻟﻨﺆﺭ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻧﻤﺎ ﺳﻤﺎﻩ
ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﺍﻻﻧﻪ ﻳﻬﺪﺍﻯ ﺑﺎﻟﻨﻮﺭ ﻓﻲ ﺍﻟﻈﻼﻡ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট
হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
আল্লাহ তায়া’লা তাঁর
নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর
নূরেতে হেদায়ত
লাভ করা যায়।
যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ
পাওয়া যায়। (তাফসীরে খাজিন
১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)
কোরআনে আলোকে নবী নুরের
তৈরি তার
প্রমান ২য় পর্বঃ দলিল নং ৪ ইমাম
হাফেজ উদ্দীন
আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ
ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই
আয়াত
শরীফ ( ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ ... ﻣﺒﻴﻦ )
প্রসঙ্গে বলেন- ﻭﺍﻟﻨﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ
ﻻﻧﻪ ﻳﻬﺘﺪﺍﻱ ﺑﻪ
ﻛﻤﺎ ﺳﻤﻲ ﺳﺮﺍﺟﺎ ﻣﻨﻴﺮﺍ -......
আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত
লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল
প্রদীপ
বলা হয়েছে।
(তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড,
পৃষ্ঠা ৪১৭)। দলিল নং ৫
ইমামুল মুতাকাল্লেমীন
আল্লামা ফখরুদ্দীন
রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ ( ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ
ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻭ ﻛﺘﺎﺏ
ﻣﺒﻴﻦ ) প্রসঙ্গে বলেন- ﺍﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﺎﻟﻨﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﺑﺎﻟﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এবং কিতাব দ্বারা আল
কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে।
(তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫,
সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।
আর যারা বলে যে ‘নূর ও
কিতাবে মুবীন’
দ্বারা কুরআন মজীদকেই
বুঝানো হয়েছে, ইমাম
রাযী (রা) সে সম্পর্কে বলেন- ﻫﺬﺍ
ﺿﻌﻴﻒ ﻻﻥ ﺍﻟﻌﻄﻒ
ﻳﻮﺟﺐ ﺍﻟﻤﻐﺎﻳﺮﺓ ﺑﻴﻦ
ﺍﻟﻤﻌﻄﻮﻑ ﻭﺍﻟﻤﻌﻄﻮﻑ ﻋﻠﻴﻪ -
এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ
(ব্যাকরণগত
সংযোজিত) মা‘তুফ (সংযোজিত) ও
মা‘তুফ
আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন
কারা হয়েছে )
এর
মধ্যে ভিন্নতা প্রমাণ করে।
(তাফসীরে কবীর
৩য়
খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫)।
দলিল নং ৬
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা)
বলেনঃ ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ
ﻧﻮﺭ ﻫﻮ
ﻧﻮﺭ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট
হতে তোমাদের
কাছে নূর এসেছে, তা হল
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর
মোবারক।
(তাফসীরে জালালাইন শরীফ
পৃষ্ঠা ৯৭
কোরআনের আলোকে নবী নুরের
তৈরি তার
প্রমান আজ ৩য় পর্বঃ দলিল নং ৭
আল্লামা মাহমূদ
আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-
ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻫﻮ ﻧﻮﺭﻋﻈﻴﻢ ﻫﻮ ﻧﻮﺭ
ﺍﻻﻧﻮﺍﺭﺍﻟﻨﺒﻰ ...
ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻰ ﺫﻫﺐ ﻗﺘﺎﺩﺓ
ﻭﺍﻟﺰﺟﺎﺝ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট
হতে তোমাদের
কাছে মহান নূর...... এসেছে । আর
তিনি হলেন
নূরুল আনোয়ার নবী মোখতার
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটাই হযরত
কাতাদাহ ও
যুজাজের অভিমত। (তাফসীরে রুহুল
মাআনী ৬ষ্ঠ
খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭)।
দলিল নং ৮
আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-
ﻗﻴﻞ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﺎﺍﻻﻭﻝ
ﻫﻮ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺑﺎﻟﺜﺎﻧﻰ
ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ -
অর্থঃ বলা হয়েছে যে,
প্রথমটা অর্থাৎ নূর
দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম
কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা
অর্থাৎ
কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন
কে বুঝানো হয়েছে।
(তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড,
পৃষ্ঠা ২৬৯) আর
অগ্রসর হয়ে বলেন-
ﺳﻤﻰ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻧﻮﺭﺍ ﻻﻥ ﺍﻭﻝ
ﺷﻴﺊ ﺍﻇﻬﺮﻩ ﺍﻟﺤﻖ ﺑﻨﻮﺭ ﻗﺪﺭﺗﻪ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﺔ ﺍﻟﻌﺪﻡ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭ
ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻯ -
অর্থ: আল্লাহ তায়া‘লা রসূল আকরাম
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম
রেখেছেন নূর।
কেননা আল্লাহ তায়া‘লা তাঁর
কুদরতের নূর
থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন
তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর
মোবারক। যেমন
তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ
তায়া‘লা সর্বপ্রথম
আমার নূর মোবারক
কে সৃষ্টি করেছেন।
(তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড,
পৃষ্ঠা ৩৬৯)।
দলিল নং ৯
ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মুহাম্মদ আল-
হোসাইন
আল-ফাররা আল- বাগাভী (রা)
বলেন-
ﻗﺪ ﺟﺎﺀﻛﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭ ﻳﻌﻨﻰ ﺑﺎﺍﻟﻨﺆﺭ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ -
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট
হতে তোমাদের
কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
(তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য়
খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩,
তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা)
এ
ছাড়া আরো অনেক তাফসীর গ্রন্থর
মধ্যে আছে যে নবী করীম
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর
নূরঃ- সুরা মায়েদা পারা ৬, ১৫
নং আয়াতে নূরের ব্যাখ্যাঃ- ১।
তাফসীরে মারেফুল
কোরআন পৃষ্ঠা ৫৪। ২।
তাফসীরে আবি সউদ ২য়
খন্ড, পৃ- ২৫১, ৩।
তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃ- ৩৬৯,
৪।
তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড, পৃ-
৩৬০, ৬ষ্ঠ
খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭, ৫।
তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ-
৮৬, ৬।
তাফসীরে কবীর
১১তম খন্ড, পৃ- ১৬৩, ৭।
তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ
খন্ড পৃ- ১১৮, ৯।
তাফসীরে বায়জাভী ১ম খন্ড, পৃ-
৬৪, ১০। তাফসীরে মাজহারী ৩য়
খন্ড, পৃ- ৬৮, ১১।
তাফসীরে কবীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৪৬২, ১২।
ছফওয়াতুত তাফাসীর ২য় খন্ড, পৃ- ১৪০,
১৩।
তাফসীরে দুররে মানসুর ২য় খন্ড, পৃ-
১৮৭,
তাফসীরে নূরুল কোরআন ৬ষ্ঠ খন্ড,
পৃষ্ঠা ১৬১,
তাফসীরে নঈমী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৫।
সূরা তাওবা পারা ১০, ৩২
নং আয়াতে নূরের ব্যাখ্যাঃ- ১।
তাফসীরে দুররে মানসুর ৩ খন্ড, পৃ-
২০১, ২।
তাফসীরে কবীর
১৬ম খন্ড, পৃ- ৩৪, ৩।
তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৪ম খন্ড, পৃ-
৪৮। v
সুরা নূর পারা ১৮, আয়াত
নং ৩৫ঃ-
১। তাফসীরে ইবনে আববাস ৪র্থ খন্ড,
পৃ- ২৪,
২। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১০ম খন্ড,
পৃ- ১৬৬।
v সুরা আহযাব আয়াত নং ৪৬ঃ-
১। তাফসীরে আহকামুল কোরআন
লিল ইবনুল
আরাবী ৩য় খন্ড, পৃ- ১৫৪৬, ২।
তাফসীরে মাওয়ারদী ৪র্থ খন্ড, পৃ-
৪১১। হাদীস
শরীফের আলোকেঃ
দলিল নং ১০
ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﻠﺖ ﻳﺎ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺑﺎﺑﻰ ﺍﻧﺖ ﻭﺍﻣﻰ ﺍﺧﺒﺮﻧﻰ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﺊ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ
ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ؟ ﻗﺎﻝ
ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭﻧﺒﻴﻚ
ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ
ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ
ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﻨﺔ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ
ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ
ﺷﻤﺲ
ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻦ ﻭﻻ ﺍﻧﺲ –
ﻓﻠﻤﺎ ﺍﺭﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ ﻗﺴﻢ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ
ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺟﺰﺍﺀ
ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻻﻭﻝ ﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭ ﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﻣﻦ
ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ
ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺛﻢ ﻗﺴﻢ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺑﻊ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺟﺰﺍﺀ ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ
ﺍﻻﻭﻝ ﺣﻤﻠﺔ
ﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﻣﻦ
ﺍﻟﺜﺎﻧﻰ ﺍﻟﻜﺮﺳﻰ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﺑﺎﻗﻰ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﺛﻢ ﻗﺴﻢ
ﺍﻟﺮﺑﻊ ﺍﺭﺑﻊ
ﺍﺟﺰﺍﺀ ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻻﻭﻝ ﺍﻟﺴﻤﺎﻭﺍﺕ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻰ ﺍﻻﺭﺿﻴﻦ
ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ
ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻟﻨﺎﺭ
ﺍﻟﺦ -
অর্থঃ হযরত জাবের (রাঃ)
হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি আবেদন করলাম,
ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মা-
বাবা আপনার
কদম
মোবারকে উৎসর্গিত,
আপনি দয়া করে বলুন, সকল বস্ত্তর
পূর্বে সর্বপ্রথম আল্লাহ
তায়া’লা কোন
বস্ত্তটি সৃষ্টি করেছিলেন?
নবীজী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ
করেন, নিশ্চয়ই
আল্লাহ তায়’লা সমস্ত কিছুর
পূর্বে তোমার
নবীর (তোমার) নূর মোবারক তাঁরই নূর
মোবারক
হতে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর ওই নূর
আল্লাহ তায়’লারই মর্জি মুতাবেক
তাঁরই
কুদরতি শক্তিতে পরিভ্রমণ
করতে লাগল। ওই
সময় না ছিল বেহেশ্ত-দোযখ, আর
ছিলনা আসমান-
যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানব ও
দানব। এক পর্যায়ে মহান আল্লাহ যখন
সৃষ্টিজগত
পয়দা করার মনস্থ করেছিলেন,
প্রথমেই ওই নূর
মোবারককে চারভাগে বিভক্ত
করে প্রথম অংশ
দিয়ে কলম, দ্বিতীয় অংশ
দিয়ে লওহ, তৃতীয় অংশ
দিয়ে আরশ,
সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে পুণরায়
চারভাগে বিভক্ত
করে প্রথমাংশ
দিয়ে আরশবহনকারী ফেরেশতাদের
দ্বিতীয়
অংশ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় অংশ
দ্বারা অন্যান্য
ফেরেশতাদের
সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে আবারও
চারভাগে বিভক্ত
করে প্রথম ভাগ দিয়ে সপ্ত আসমান,
দ্বিতীয়
ভাগ দিয়ে সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ
দিয়ে বেহেশত-
দোযখ
এবং পরবর্তী ভাগ
দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল
বস্ত্ত সৃষ্টি করে।
(আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া ১ম খন্ড,
পৃষ্ঠা ৭১)
নুর নবি (স) ইমানের দাবী।
২য় পর্বঃ
"নবী করিম (স) নূর" তা পবিত্র কোরআন ও বিশ্ববিখ্যাত তাফসির এবং হাদিস শরিফের আলোকে তুলে ধরা হল। প্লিজ এরিয়ে যাবেন না"
আমার প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মাদ (স) তার সমস্ত দেহ মোবারক নূর ।
কিছু কিছু বাতেল ফেরকার যারা মনগরা ব্যখ্যা করে কোরআনে অসংখ যায়গাতে উল্লেখিত নূরকে অপব্যখ্যা করে অতচ কোন প্রসিদ্ধ তাফসিরের রেফারেন্স দিতে পারেনা। নবী করিম (স) ত দূরের কথা আদম (আ) ব্যতিত কোন মানুষকেই আল্লাহ মাটি দ্বারা তৈরী করেননি। নবী করিম (স) নূরের তৈরী তা আমি ব্যখ্যা করব না আসোন দেখি বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির গন নুরের ব্যখ্যায় কি বলে। তাছাড়াও ওহাবিদে গুরুদের কিতাবে নবীকে (স) কি বলে নুর না মাটি?
দলিলঃমহান আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরিফের সূরা মায়েদার ১৫নং আয়াতে বলেন, "ক্বদ যা আকুম মিনাল্লাহি নূর ওয়া কিতাবুম মুবিন" অর্থাত্ নিশ্চয় তোমাদের নিকট এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নূর এবং স্পষ্ট কিতাব"
এই আয়াত নিয়ে যত টানাটানি কেউ বলে হেদায়েতের আলো কেউ বলে কোরআনি নূর নিজে নিজেই মুফাচ্ছির সেজে বসে। আসোন দেখি এই আয়াতের ব্যখ্যায় বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির গন তাদের তাফসিরে কি বলেছেন।
১। তাফসিরে জালালাইন" যা বিশ্বের সকল মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তক যাকে অস্বিকার করার মত আলেম জন্ম হয়নি। উক্ত তাফসিরে এই আয়াতের ব্যখ্যায় বলেন "ক্বাদ যা আকুম মিনাল্লাহি নূর হুয়া নূরু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম" অর্থাত্ আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে নূর সেই নূর হল নবী করিম (স)
আসা করি আপনি আমি এর চেয়ে বড় মুফাচ্ছের নয়।
২। তাফসিরে ইবনে আব্বাস" বিশ্ববিখ্যাত তাফসির এই তাফসিরে রয়েছে এই নূর হল নুরে মোহাম্মাদ (স) ৭২প
৩।তাফসিরে কাবির। ৩য় খন্ড ৩৯৫পৃ নিশ্চয় এই নুর দারা মোহাম্মদ (স) এরং কিতাব দারা কোরআন।
৪। তাফসিরে রুহুল মাআনী ৯৭পৃঃ ৬খঃ
৫।তাফসিরে রুহুল বায়ান ২৬৯পৃঃ ২খঃ
৬।ওহাবিদের তাফসির "তাফসিরে মারেফুল কোরআনে এই নূর দারা মোহাম্মাদ (স)
৭।তাফসিরে ইবনে জাবির ৮৬পৃঃ ৬খঃ।
৮।তাফসিরে বায়জাভী ৬৪পৃঃ ১খঃ
এমন অসংখ তাফসির কারক গন তাদের তাফসিরে এই আয়াতের ব্যখ্যায় এই নূর দ্বারা আমার নবীর নূরকে বুঝিয়েছেন। সব তাফসির উল্লেখ করলে লিখে শেষ করা যাবে না। আসোন ওহাবিদের কিতাবে নবি করিম (স) কে কি বলে
ওহাবিদের গুরু আশরাফ আলী তানভী তার গ্রন্থ "নশরুততীব" এর ৫পৃঃ জাবের (রা) এর হাদিসের ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন নবী করিম (স) আল্লাহর নূর শুধু তাই নায়
¤এমদাদুছ ছুলক কৃতঃ রশিদ আহমেদ গাংগুহী
¤শুকুরে নিয়ামত কৃতঃ কাসেম নানুতবী
¤গাওহারে সিরাজী এমন আরো অনেক কিতাবে ওহাদের গুরুঠাকুর গন বলেছেন নবীজী নূরের তৈরী অতচ তাদের অনুসারীরা মানতে গায়ে লাগে আসলে তারা নবীর দুষ্মন।
আসোন এখন হাদিসের আলোকে প্রমান করি নবী করিম (স) নূরের তৈরী
দলিল ১। মাওয়াহিবে লাদুনিয়া ১ম খন্ড ৭১পৃঃ জাবের (রা) হতে বনির্ত তিনি বলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সর্ব প্রথম আল্লাহ তায়ালা কি তৈরি করেছেন? উত্তেরে রাসুল (স) বলেন "কলা ইয়া জাবের ইন্নাল্লাহা তায়ালা ক্বাদ খালাকা কাবলাল আশইয়ায়ে নূরা নাবীইকা মিন নূরিহি...." সংক্ষিপ্ত ভাবে উল্লেখ করলাম। অর্থাত্ হে জাবের আল্লাহ তায়ালা সর্ব প্রথম তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। এই হাদিসকে জাল বল্লে আল্লাহর লানত পতিত হবে কারন জাবের (রা) নবিজির প্রিয়তম সাহাবী।
দলিল ২।নেমাতুল কোবরা আলার আলম এর ৪১পৃঃ হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা) হতে বনির্ত হাদিস তিনি বলেন একাদা আমি ঘরে বাতির আলোতে কাথা সেলাই করছিলাম হঠাত কোন কারনে বাতিটা নিবে গেল তখন আমি অন্ধকারে সুইটা হারিয়ে ফেলি এমত অবস্থায় রাসূল (স) ঐ ঘরে প্রবেশ করলে সাতে সাতে রাসুল (স) এর চেহেরা মোবারকের নূরে আলোকিত হয় যায় সেই আলোতেই আমি হারানো সুইটা খোজে পায়॥ মন্তব্যকারীদের কাছে প্রশ্ন আপনি ঘরে ডোকলে অন্ধকারে আলোকিত হয় কিনা? যদি না হয় নবী আমাদের মত হল কি করে ।
২।দলিল "যুরকানী শরিফের ৪র্থ খন্ড ২২০পৃ সহিহ হাদিস "লাম ইয়াকুনু সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জল্লা ফিসামসা ওয়াল কামারা লা আনহু কানা নূর" অর্থাত্ রাসূল (স) যখন রাস্তা দিয়ে হাটতেন তখন তার শরিল মোবারকের ছায়া পরতনা কেননা তার আপদমস্ত ছিল নূর" সকল বস্তুর ছায়া পরে একমাত্র আলো বা নূরের কোন ছায়া নেই সুতরাং রাসূল (স) এর ছায়া ছিলনা এতে প্রমান হয়না আমার নবী (স) এর দেহ নূর?
তাছারাও অসংখ হাদিসে বনর্না রয়েছে নবী করিম (স) এর গায়ে মশা মছি বসত না তার পস্রাব মোবারক রক্ত মোবারক পান করে বেহেস্তের সার্টিফিকেট পেয়েছেন তারপরও যাদের বুঝে আসেনা তাকে বুঝানো ক্ষমতা আমার নেই।
নুরের দলিল সিহাসিত্তার অন্যতম গ্রন্থ তিরমিজী শরিফের ২য় খন্ড ৩৭পৃষ্ঠায় রয়েছে তাছাড়া মিশকাত শরিফের ১৫৩পৃষ্ঠায়ও স্পষ্ট বনর্না আছে আল্লাহ তাদের বুঝার তৌফিক
ভূল ব্যাখ্যা করবেন না। আলোচ্য আয়াতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে “নুর” হিসাবে বুঝানো হয়েছে; কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেহ মোবারক নুর এর তৈরী - এই কথার পক্ষে কি একটি দলিল দেখাতে পারবেন?