জাহান্নাম

 

জাহান্নাম!


জাহান্নাম!
 জাহান্নাম!


নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন জিবরাঈল (আ.)-কে বললেন,আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন, ততোবার-ই আপনার কপালে শোক ও দুশ্চিন্তার ছাপ ছিলো......এর কারণ কী ?জিবরাঈল (আ.) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম - এর প্রশ্নের জবাবে বললেন,  জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে আমার ঠোঁটে কখনো হাসি ফুটেনি।জাহান্নাম কেমন হবে?


১।জাহান্নামের গভীরতা এমন যে,এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে।বিচারের দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।


২।জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।


৩।জাহান্নামবাসীদের শরীরের চামড়া  ১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে । যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয়,তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল যার এক একটি উহুদ পাহাড়ের সমান

৪।প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।


৫।জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি,পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল।এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এতো বেশী হবে যে তারা এই পানীয় পান করতে থাকবে।


৬।জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে,জাহান্নাম বাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।এই জন্যই বলছি ভাই / বোন । আসুন আমরা দীনের পথে চলি।

ইসলাম মেনে চলি, আমাদের কখন কি হবে আমরা কিন্তু কেউ জানি না,কেউ আমার যাবে না,আমার হিসাব আমাকেই দিতে হবে,  দুনিয়া টা একটা দুখা, লালসাময়, তাই আসুন জাহান্নাম থেকে আমরা বাচিঁ আমাদের পরিবার কে বাচাঁই- হে আল্লাহ, আমাদেরকে আপনি জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন।

আমিন।।


জাহান্নামের বয়ান/জাহান্নামের কি?



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url